মুদির দোকান থেকে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক।৬১ ভোজপুরি শিল্পপতি কাউছ মিয়া  মুজিবই বাংলাদেশের সবথেকে বেশি করদাতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড 'সেরা করদাতা' সম্মান এর আয়োজন করে। দেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতি, 'কর্পোরেট জায়ান্টদের' হারিয়ে এই শিরোপা পেয়েছেন কাউছ মিয়া।

কিন্তু কে তিনি কোথা থেকে এলেন? সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ৬১ বছর ধরে বাংলাদেশে করতে আসছেন এই ব্যক্তি। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন তিনি‌। তার কথায়,'টাকাপয়সা আগে এখানে সেখানে রাখতাম। ফলের চুরি যাওয়া হারানোর ভয় থাকতো। প্রথম কর দেওয়ার পর ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পাই। এরপর আর টাকা রাখার কোনো সমস্যা হয়নি।'


এদিন বাবার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মায়ের উৎসাহে ব্যবসায় নামেন তিনি। তখনই তিনি ভাবেন নি,একদিন সে দেশের সবথেকে বড় শিল্পপতিদের তালিকা থাকবেন। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশের চাঁদপুরের পুরানো বাজারে একটি মুদিখানার দোকানের ব্যবসা শুরু করেন কাউছ মিয়া। এরপর ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে ওঠে তার ব্যবসা। তিনি ১৮ টি সিগারেট ব্র্যান্ড সাবান বিস্কুট কোম্পানি এজয়েন্ট হন।
 

২০ বছর চাঁদপুরে ব্যবসা করার পর ১৯৭০ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। নতুনভাবে শুরু করেন তামাকের ব্যবসা। আর তার পরই তাকে পেছন দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি কখনো। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। ৪০ থেকে ৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কাউছ মিয়া । ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সেরা করদাতা সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তামাকের কেনাবেচা হয় তার মূল ব্যবসা। মাঝে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসাতেও নেমেছেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসায় অসৎ হতে হয়,এমনই দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সেই ব্যবসা থেকে সরে আসেন তিনি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন